বৃহস্পতিবার, ২৭শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৩ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবরোধ শেষে আজ মধ্যরাত থেকে সমুদ্রে মাছ শিকারের জন্য প্রস্তুত জেলেরা।

০ টি মন্তব্য 13 ভিউ 8 মিনিট পড়ুন
অ+অ-
রিসেট করুন

প্রতিনিধিঃ

মো. জহিরুল ইসলাম, কুয়াকাটা
print news | অবরোধ শেষে আজ মধ্যরাত থেকে সমুদ্রে মাছ শিকারের জন্য প্রস্তুত জেলেরা। | সমবানী

মা ইলিশ রক্ষায় দেশের সমুদ্র ও নদী গুলোতে মাছ শিকারের ক্ষেত্রে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। গত (১২ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে এ নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছিল। ০৩ নভেম্বর মধ্য রাত থেকে এ নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে।

তাই সমুদ্রে মাছ শিকারের জন্য ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে স্থানীয় জেলেরা। ২২দিনের অবরোধ চলাকালীন সময় সকল ধরনের মাছ শিকার থেকে বিরত থেকেছেন স্থানীয় জেলেরা। মা ইলিশ রক্ষায় এবং ইলিশের উৎপাদন বারাতে এই অবরোধ। এক দিকে যেমন সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ ছিলো অপর দিকে স্থানীয় মৎস বন্দর গুলোতে সকল ধরনের মৎস্য ইলিশ আহরণ,পরিবহন,বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণ বন্ধ ছিলো।

এবারের নিষেধাজ্ঞা যথাযথ ভাবে বাস্তবায়নের চিত্র চোখে পড়েছে সরজমিনে। পোষ্টারিং,ব্যানার, সচেতনতামূলক সভা ও মাইকিংয়ের সহ সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে অবরোধকে কেন্দ্র করে।

সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে ২২ দিনের অবরোধ শেষে সকল জেলেরা তাদের মাঝিমাল্লা সহ ট্রালারে তাদের জালপাল্লা তুলতেছে এবং সকলর প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে মাছ শিকারের জন্য।

এফবি ফেরদৌস ট্রালারে মাঝি মো. আবুছালে বলেন,২২ দিনের অবরোধ শেষে হবে আগামীকাল তাই আমরা আমাদের ছেঁড়া, ফাটা, কাটা জাল গুলো সেলাই এর কাজ সম্পন্ন করেছি এবং ট্রালারে খুঁটিনাটি মেরামতের কাজ গুলো ভালো ভাবে শেষ করা হয়েছে যাতে করে সমুদ্রে যাত্রা পথে কোন ধরনের বিড়ম্বনা না হয়।

জেলে আব্দুর রশিদ জানান,আমরা ২২ দিনের অবরোধ সঠিকভাবে মানি কিন্তু সরকার আমাদের যে অনুদান দেয় তাতে আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালানো দায়। সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে।ভবিষ্যতে যেন এই অনুদান আরো বাড়িয়ে দেয়।

আরও পড়ুন

শাহ আলম মাঝি জানান, ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত এই যে ২২ দিনের অবরোধ আমরা সঠিকভাবে আইন মানছি কোন ধরনের নীতিমালা ভঙ্গ করি নাই।আমাদের কোন ট্রলার এই অবরোধের সময় সমুদ্রে যায় নাই। ২২ দিন অবরোধের যে চাল দেয় এইটা অনেক জেলেরাই পায়না। না পাওয়ার কারণ হইছে লতচাপলী ইউনিয়নে ১৮০০ জেলেদের নামে চাল আসে কিন্তু লতাচাপলী ইউনিয়নে ২৮০০ জেলে কার্ড রয়েছে। যার কারনে অনেক জেলেরাই চাল পায়নাই।

মৎস্য ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম জানান, এ বছর ইলিশ মৌসুমী তেমন একটা ইলিশ ধরা পড়ে নাই। যার কারণে আমরা ব্যবসায়িক ভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। কিন্তু জেলেদের টিকিয়ে রাখতে হলে দাদনের পর বারতি টাকা দেওয়া লাগে। কিন্তু ২২ দিনের অবরোধে সরকার যে চাল দেয় তা তুলনামূলক ভাবে খুবই কম। এতে করে জেলেদের সংসার চালানো দায় হয়ে যায়।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার অপু শাহা জানান, গণপ্রজাতন্ত্রী সরকার ঘোষিত ২২ দিনের ইলিশের প্রাধাণ প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে আজ মধ্যরাত থেকে আমাদের অভিযান সমাপ্তি হচ্ছে। আমাদের উপকূলের জেলেরা তাদের জাল নৌকা নিয়ে তারা প্রস্তুত রয়েছে। এই মধ্যরাতের পরবর্তী সময়ে মাছ ধরতে যাবে গভীর সমুদ্রে যাবে। এবং তাদের যে কাঙ্খিত ইলিশ মাছ সেটা তারা ধরতে পারবে।আমরা আশা করছি এই ২২ দিনের যে ক্ষতি সেটা তারা পুষিয়ে উঠতে পারবে।

আরও পড়ুন


Discover more from সমবানী

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

আপনি পছন্দ করতে পারেন

আর্কাইভ
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  

এই ক্যাটাগরির আরো খবর

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকিজ ব্যবহার করে। আমরা ধরে নেব আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি চাইলে অপ্ট-আউট করতে পারেন৷ গ্রহণ করুন আরও পড়ুন

Discover more from সমবানী

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading