রবিবার, ১৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাউখালীতে জমে উঠেছে সুপারির বাজার 

০ টি মন্তব্য 10 ভিউ 7 মিনিট পড়ুন
অ+অ-
রিসেট করুন

প্রতিনিধিঃ

রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, কাউখালী, পিরোজপুর
print news | কাউখালীতে জমে উঠেছে সুপারির বাজার  | সমবানী

পিরোজপুরের কাউখালীতে জমে উঠেছে সুপারি বাজার। দক্ষিণ অঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম সুপরিবাজার কাউখালী। কালের বিবর্তনে অনেক ফসল হারিয়ে গেলেও লাভজনক কৃষিপণ্য হিসেবে স্থান পেয়েছে কাউখালী সুপারি। এখানকার সুপারির মান ভালো হওয়ায় প্রতিবছর সুপারি মৌসুমে বাজার বেশ জমে ওঠে। ভাদ্র মাস থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত কাঁচা সুপারির বেচাকেনা হয়। তবে সারা বছরই কাউখালীতে শুকনো সুপারি বেচাকেনা চলে।

এই মৌসুমে নিম্নবৃত্তদের সুপারি একমাত্র ভরসা। তাছাড়া এই অঞ্চলের প্রতিটি পরিবারে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে সুপারি আয়ের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ধানের পরেই এর স্থান। সুপারি গাছ নেই এমন কোন বাড়ি এ অঞ্চলে খুঁজে পাওয়া যাবে না। আপতকালীন সুপারি বিক্রি করে সংসারে চাহিদা মিটছে অনেক কৃষকের। সুপারির চাষ লাভজনক হওয়ায় অনেকেই এখন সুপারি চাষে আগ্রহী হয় উঠেছে। প্রতিবছর কাউখালীতে কয়েক কোটি টাকার পাকা ও শুকনো সুপারি বেচাকেনা হয়। বর্তমানে দেশে উৎপাদিত সুপারির বড় অংশ দক্ষিণাঞ্চলের এ উপজেলায় উৎপাদিত হয়। উপকূলে সুপারির সবচেয়ে বড় মোকাম কাউখালী।

এ বছর সুপারির তুলনামূলক কম হয়েছে। বর্তমানে হাটে বাজারে সুপারি বেচাকেনা চলছে। সুপারির মালিকরা এ বছর ভালো দাম পাচ্ছে বলে জানান। বর্তমানে প্রতি কুড়ি (২১০টি) সুপারি শ্রেণী ভেদে বেচাকেনা হচ্ছে ৪০০টাকা থেকে ৫৫০ টাকা পর্যন্ত। সুপারি ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ বছর সুপারির ফলন কম হয়েছে। তাই গত বছরের চেয়ে দাম একটু বেশি। সুপারি বাগানের মালিক মানিক মৃধা বলেন, আমি এবছর সুপারির বাগান বিক্রি করেছি ২ লক্ষ টাকায়। ফলন কম হওয়ার কারণে দাম একটু কম পেয়েছি। গত বছর ৩ লক্ষ টাকায় বাগান বিক্রি করেছিলাম। কাউখালী উপজেলা সদরে সপ্তাহে সোম ও শুক্রবার দুইদিন হাট বসে।

এখান থেকে ঢাকা, খুলনা, বাগেরহাট,চাঁদপুর, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসে সুপারি কিনে বস্তা ভরে লঞ্চ, ট্রাক সহ বিভিন্ন যানবাহনে নিয়ে যায়। স্থানীয় পাইকাররা দেশের বিভিন্ন স্থানে সুপারি চালান দেন। কেউ কেউ রোদে শুকিয়ে মজুদ করেন। আবার কেউ কেউ মাটির গর্ত করে পানি দিয়ে তার ভেতরে রেখে মজুদ করেন।

পরে দাম উঠলে সময় সুযোগ মতো বাজারে বিক্রি করেন।
এ ব্যাপারে কাউখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোমা রানী দাস বলেন, এখানকার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সুপারির ফলন ভালো হয়। আমাদের কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও চাষীদের পরিশ্রমে সুপারি ফলন প্রতি বছরই ভালো হয়। আমরা কৃষকদের পরামর্শ ও বিভিন্ন প্রকার প্রশিক্ষণসহ সাহায্য সহযোগিতা করে থাকি।

আরও পড়ুন


Discover more from সমবানী

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

আপনি পছন্দ করতে পারেন

আর্কাইভ
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  

এই ক্যাটাগরির আরো খবর

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকিজ ব্যবহার করে। আমরা ধরে নেব আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি চাইলে অপ্ট-আউট করতে পারেন৷ গ্রহণ করুন আরও পড়ুন

Discover more from সমবানী

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading