কাউখালীতে প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ গাইড বই বিক্রি হচ্ছে
প্রতিনিধিঃ
রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, কাউখালী, পিরোজপুর।

পিরোজপুরের কাউখালীতে প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের রমরমা ব্যবসা। বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গাইড বই ছাড়া সরকারের দেওয়া বিনামূল্যের বই শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয় কম। এদিকে অধিক মূল্যর গাইড বই কিনতে অধিকাংশ অভিভাবকরা হিমশিম খাচ্ছেন।
তথ্যঅনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার সমূহে শিক্ষার্থীদের গাইড বই পড়ানো হয়। সরকারের দেওয়া বই পড়ানো হয় কম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। একশ্রেণীর শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের গাইড কেনার পরামর্শ দিচ্ছেন। মাধ্যমিক স্তরে শ্রেণীভেদে ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে এক সেট গাইড বই কিনতে হয়।
মাদ্রাসার স্তরে নবম থেকে দশম শ্রেণীতে ৪ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকায় গাইড বই কিনতে হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৫০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকায় গাইড বই বিক্রি হচ্ছে। প্রাথমিক শাখায় শিক্ষকদের পছন্দের বই হল লেকচার, পাঞ্জেরী, পপি ও টিচার্স, মাধ্যমিক শাখায় লেকচার ও পাঞ্জেরী।
উপজেলার দাসেরকাঠি গ্রামের অভিভাবক এনায়েত হোসেন, শিয়াল কাঠি গ্রামের অভিভাবক সারোয়ার হোসেন, আমরাজুড়ি গ্রামের বাসিন্দা কুলসুম বেগম বলেন, শিক্ষকরা সরকারি বইয়ের গুরুত্ব কম দিয়ে গাইড বই পড়াতে বেশি অভ্যস্ত। অধিকাংশ অভিভাবকরা জানান, শিক্ষকরা কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের বলেন গাইড বইয়ে পড়া সহজ যা তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে তাই তোমরা গাইড বই পড়ো।
অভিভাবকরা আরও জানান শিক্ষকরা তাদের পছন্দের কোম্পানির গাইড বইয়ের তালিকা হাতে ধরিয়ে দেন। এখানে ছাত্র অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা অসহায়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হান্নান বলেন, গাইড বই কেনাবেচা আইনত নিষিদ্ধ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গাইড বই পড়ানো যাবেনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হইবে। এবং অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে।
আরও পড়ুন
- বোরহানউদ্দিনে ইসলামী আন্দোলনের গণ সমাবেশ
- ভোলায় বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ ৫ কারবারি আটক
- বোরহানউদ্দিনে খাবারে নেশা খাওয়াইয়া অচেতন করে ২ লক্ষ টাকা চুরি অসুস্থ্য ৫ জন
Discover more from সমবানী
Subscribe to get the latest posts sent to your email.