লাখাইয়ে বিয়ের দাবিতে প্রবাসীর বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন যুবতী।
প্রতিনিধিঃ
রফিকুল ইসলাম, লাখাই(হবিগঞ্জ)

হবিগঞ্জের লাখাইয়ে বিয়ের দাবিতে প্রবাসী প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন এক যুবতী। ৩ দিন ধরে তিনি প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
এদিকে প্রেমিকার আসার আগেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেমিক যুবক। ইতিমধ্যেই তিনি দেশ ছেড়ে গেছেন বলেও দাবি করা হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মোড়াকরি গ্রামে। প্রেমিক রাজিব বনিক (৩০) ওই গ্রামের রবিন্দ্র বনিকের ছেলে। তিনি সাউথ আফ্রিকা প্রবাসী।
প্রেমিকা কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার মিঠামইন গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জিত কুমার বনিকের মেয়ে পপি বনিক (২৪)। অবশেষে শুক্রবার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় ওই যুবতীকে রাজিবের পিশা (ফুফা) সত্য বনিকের বাড়িতে নিয়ে রাখা হয়। এেিদক প্রেম করে এখন দু’কূলই হারাতে বসেছেন পপি।
ফঁসকে যেতে চাচ্ছেন প্রেমিক, ফেলে এসেছেন স্বামীকেও। এ অবস্থায় তিনিও বিয়ের দাবিতে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন। হয় এবার স্ত্রীর মর্যাদা পাবেন, না হয় মরবেন। তবুও তিনি ফিরে যাবেননা বলে প্রতিজ্ঞা করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পপি বনিক বলেন, প্রায় ৮ বছর পূর্বে আমার পরিবার আমাকে অন্য এক জায়গায় বিয়ে দেয়। সেখানে আমি আমার শাশুড়ির মোবাইল ফোন ব্যবহার করতাম। হঠাৎ একদিন সাউথ আফ্রিকা থেকে ভুলে ফোন দেয় রাজিব বনিক। তখন রং নাম্বার বলে আমি ফোন কেটে দেই। এরপর থেকে প্রায় সময়ই রাজিব ফোন দিতো। বিরক্ত করতো। আমাকে সাউথ আফ্রিকা নেয়ার প্রলোভন দেখাতো।
এক পর্যায়ে আমাকে সে পঠিয়ে ফেলে। তখনই আমাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক এভাবে কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে আমি ধরে তার সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক। পরে সে আমাকে বলে আমার স্বামীকে ডিভোর্স দিতে। তার কথার উপর ভিত্তি করেই আমি ডিভোর্স দিই। কিন্তু এক মাসের কথা বলে আজ ৮ বছর প্রেম। তিনি বলেন, আমি বলেছি এখন এখান থেকে যেতে হলে আমার লাশ যাবে।
না হয় রাজিব বনিককে আমাকে নিয়েই সংসার করতে হবে। আমি তার সংসার করতে চাই। মোড়াকরি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাসেম মোল্লা জানান, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের পরিচয় এবং প্রেম হয়েছে। কয়েক বছর ধরে প্রেম চলছে। প্রায় ৬ মাস পূর্বে সে আরও একবার এভাবে চলে এসেছিল।
তখন তাকে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়। এবার আর বুঝিয়ে রাজি করা যাচ্ছেনা। তিনি বলেন, সে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। সেখান থেকে দুইদিন আগে প্রেমিকের বাড়িতে চলে আসে। ছেলের পরিবারের মাধ্যমে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যাচ্ছেনা। তার মোবাইল ফোন বন্ধ। তার মা-বাবা বলছে হয়তো সে বিদেশে চলে গেছে। এখন আসলে সমাধান করা কঠিন।
ছেলেকে না পাওয়া গেলে হয়তো সমাধান দেয়া যেতো। লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বন্দে আলী বলেন, আমি মেয়ের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেছি। মেয়ের বাবাকে বলেছি তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
কিন্তু তিনি বলছেন, মেয়ে তার কোন কথা শুনেনা। তিনি কান্নাকাটি করছেন। প্রেমিকের জন্য ইতিমধ্যে মেয়ে কয়েকবার বিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছে। ছেলের পরিবার দাবি করছে সে বিদেশে চলে গেছে। এখন তাদেরকে বলেছি তারা দুই পরিবার মিলে যেন একটি সমাধানে পৌছান। তবে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সে জন্য আমরা নজর রাখছি।
আরও পড়ুন
- বোরহানউদ্দিনে ইসলামী আন্দোলনের গণ সমাবেশ
- ভোলায় বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ ৫ কারবারি আটক
- বোরহানউদ্দিনে খাবারে নেশা খাওয়াইয়া অচেতন করে ২ লক্ষ টাকা চুরি অসুস্থ্য ৫ জন
Discover more from সমবানী
Subscribe to get the latest posts sent to your email.