মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়, অপসারণ চায় শিক্ষার্থী- অভিভাবকরা
প্রতিনিধিঃ
কাজী ওমর ফারুক, মোংলা
মোংলায় চৌরিডাঙ্গা আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে সরকারি বাজেটের টাকা ও মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে অর্থ আত্মসাত, প্রতিষ্ঠানের জায়গা দখলসহ বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মাদরাসাটির সুপার মাওলানা শেখ জালাল উদ্দীনের বিরুদ্ধে ওঠা এসব অনিয়ম ও দূর্ণীতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে ফুঁসে উঠেছে ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। প্রতিবাদে তারা মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নে মাদ্রাসার মাঠে মানববন্ধন করেন। তবে এসময় মাদ্রাসায় সুপার উপস্থিত ছিলেন না। যদিও গত ৫ আগষ্টের পর থেকেই রহস্যজনক কারণে নিয়ম করে মাদ্রাসায় আসেন না তিনি।
মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে মানববন্ধন চলাকালে অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, মাদ্রাসার সুপার জালাল উদ্দীন একজন দূর্ণীতিবাজ শিক্ষক। তার অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে প্রাচীনতম এই মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী মাত্র ৩৭ জন। বছরের পর বছর ধরে তার অনিয়ম আর দূর্ণীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না হওয়ায় তিনি যা ইচ্ছা তা করে যাচ্ছেন।
তার বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের কাছে এ পর্যন্ত অন্তত ১৫টি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। সেসব অভিযোগে উল্লেখ করা হয়- মাদ্রাসা সুপার জালাল উদ্দীন মাদ্রাসায় সরকারি বাজেটের পাঁচ লক্ষ টাকা, মাদ্রাসার জমি লিজ দেওয়ার টাকা, ছাত্র ছাত্রীদের দাখিল পরীক্ষার রেজিষ্ট্রেশনের টাকা, শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া মাদ্রাসার জালনা- দরজা, পানির ট্যাংক, গাছ বিক্রি করা এবং মাদ্রাসার পুরাতন ভবনের ইট নিয়ে নিজের বাড়ীতে নিয়ে রাখাসহ পুকুরের মাছ পর্যন্ত বিক্রি করে সেই টাকা নিজের পকেটে ভরেছেন।

মাদরাসাটির সুপার মাওলানা শেখ জালাল উদ্দীনের বিরুদ্ধে ওঠা এসব অনিয়ম ও দূর্ণীতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে ফুঁসে উঠেছে ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা
তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগসহ সুনির্দিষ্ট আরও কিছু অভিযোগের বিষয়ে মঙ্গলবার তদন্ত এসে মাদ্রাসায় সুপারকে খুঁজে পায়নি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার। অভিযুক্ত সুপার জালাল উদ্দীনের ব্যবহৃত ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্যও নিতে পারেননি তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, এই সুপার জালাল উদ্দীন তাদের সরকারি টাকাও আত্মসাৎ করেছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, তাকে বেশ কিছু দিন ধরে তলব করেও তার বক্তব্য জানা যাচ্ছে না। তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছেন তার এলাকাবাসীও। তার স্বেচ্ছাচারিতার ফলে মাদরাসার সুনাম নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বারবার। এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার জালাল উদ্দীনের বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা বন্ধ থাকায় সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন
- বোরহানউদ্দিনে ইসলামী আন্দোলনের গণ সমাবেশ
- ভোলায় বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ ৫ কারবারি আটক
- বোরহানউদ্দিনে খাবারে নেশা খাওয়াইয়া অচেতন করে ২ লক্ষ টাকা চুরি অসুস্থ্য ৫ জন
শেয়ার:
- Click to share on Facebook (Opens in new window) Facebook
- Click to share on X (Opens in new window) X
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window) LinkedIn
- Click to share on Reddit (Opens in new window) Reddit
- Click to share on X (Opens in new window) X
- Click to share on Tumblr (Opens in new window) Tumblr
- Click to share on Pinterest (Opens in new window) Pinterest
- Click to share on Pocket (Opens in new window) Pocket
- Click to share on Threads (Opens in new window) Threads
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window) WhatsApp
Discover more from সমবানী
Subscribe to get the latest posts sent to your email.
