মঙ্গলবার, ২৪শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১০ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজনগরে পাগলা খাল খননে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীলীগের নেতার বিরুদ্ধে

০ টি মন্তব্য 3 ভিউ 8 মিনিট পড়ুন
অ+অ-
রিসেট করুন

প্রতিনিধিঃ

মনজু বিজয় চৌধুরী, মৌলভীবাজার
print news | রাজনগরে পাগলা খাল খননে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীলীগের নেতার বিরুদ্ধে | সমবানী

মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার মুন্সিবাজার পাগলা খাল খননে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার আওয়ামীলীগের নেতা মো: রাহেল আহমেদ এর বিরুদ্ধে। মৌলভীবাজার -ফেঞ্চুগনঞ্জ হাইওয়ে রোড ক্রস করে গিয়েছে পাগলা নদী। এই নদীর রাস্তার উপর রয়েছে সংযোগ ব্রীজ। ব্রীজের সম্মুখে একজন ব্যবসায়ী পাগলা নদীর সীমানায় পাকা দালান থাকায় পানি প্রবাহে সৃষ্টি হচ্ছে বাঁধা।

নদীর খনন কাজে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার আওয়ামীলীগের নেতা মো: রাহেল আহমেদ এই স্থানের খনন কাজ বাদ দিয়ে খালের অন্য দিকে কাজ শুরু করেছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। আর এই বাজারের ভিতর ব্রীজের সম্মুখ খনন না হলে বর্ষা মৌসুমে ব্যবসায়ীদের জলবদ্ধতার ভোগান্তিতে পড়তে হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডে সুত্রে জানা যায়, পাগলা খালের ৩৫ শত মিটার খননের ৪০ লাখ টাকার কাজ পেয়েছেন ইউনাইটেড ব্রাদাস নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ট্রান। ইউনাইটেড ব্রাদাস ঠিকাদারী প্রতিষ্ট্রান সাব- ঠিকাদার নিয়োগ দেন রাজনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের এক নেতা মুন্সিবাজার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রাহেল আহমেদকে। গত এপ্রিল মাসে কাজ শুরু করেন সাব- ঠিকাদার মুন্সিবাজার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রাহেল আহমেদ।

এলাকাবাসীর অভিযোগ কাজ শুরুর পর থেকে সাব- ঠিাকাদার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী এমদাদুল হকের তত্ত্বাবধানে নদী খনন করতে গিয়ে অনিয়ম করে যাচ্ছেন। অনেক স্থানে স্বজন প্রীতি দেখাতে গিয়ে স্থাপনা রক্ষা করতে গিয়ে নদীর অপর পাশ কেটে দেওয়া হচ্ছে।

বর্ষা মৌসুমে এই পাগলা নদী দিয়ে মুন্সিবাজার সহ আশেপাশের এলাকার পানি নিস্কাশন হয়। নদীটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় অন্যতম বাজার মুন্সিবাজারে বর্ষা মৌসুমে জলবদ্ধা সৃষ্টি হয়। মুন্সি বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীটি বাজারের আবর্জনা ময়লায় ভরে গিয়ে সব চেয়ে বেশী পানি প্রবাহে বাঁধা সৃষ্টি করে।

আর এই পানি উন্নয়ন বোর্ডের খালের উপর পুতুল আখন্দ নামে এক ব্যক্তি নির্মান করেছেন পাকা দালান। দালানের খুঁটিতে আবর্জনা জমে জলাবদ্ধতা সমস্যায় পড়ছেন বাজারের ব্যবসায়ীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ী বলেন, ব্রীজের সম্মুখে পাগলা নদীর উপর পুতুল আখন্দ নামে একজনে পাঁকা দালানের খুঁটি থাকায় ঠিকাদার এই স্থান খনন না করে অন্যদিকে খননের জন্য চলে গেছেন। পাগলা খাল খনন হলেও সমস্যা থেকে গেল।

রাজনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা ও মুন্সিবাজার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রাহেল আহমেদকে পাগলা নদী খননের বিষয় জানতে চাইলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

এব্যাপারে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এমদাদুল হক বলেন, পাঁকা দালান পানি উন্নয়ন বোর্ডর জায়গায় পড়েনা। দালানের মালিক পুতুল আখন্দ পাগলা খালের উপর কয়েকটি খুঁটি পড়েছে স্বীকার করেছেন এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে বলেন, বর্ষা মৌসুম চলে আসছে উচ্ছেদের ঝামেলায় না করে যতটুকু পারা যায় খননের সাথে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করছি।

এব্যাপারে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: খালেদ বিন অলিদ বলেন, পাগলা নদী খনন কাজ চলছে। তবে অবৈধ স্থাপনা আমরা উচ্ছেদ করতে পারিনা। উচ্ছেদ করতে হলে জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিতে হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনেক ভূমি অবৈধ দখল কেন উচ্ছেদ করা হচ্ছেনা প্রশ্ন করলে বলেন, উচ্ছেদ করলে ওরা যাবে কোথায়। এছাড়া অনেকে ক্ষতির সম্মুখিন হবে।

আরও পড়ুন


Discover more from সমবানী

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

আর্কাইভ
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  

এই ক্যাটাগরির আরো খবর

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকিজ ব্যবহার করে। আমরা ধরে নেব আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি চাইলে অপ্ট-আউট করতে পারেন৷ গ্রহণ করুন আরও পড়ুন

Discover more from সমবানী

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading