সিলেটে দালালের মাধ্যমে মিলছে কি এইচএসসির প্রবেশপত্র? ভুয়া প্রবেশপত্র নিয়ে আসা পরীক্ষার্থীর কারাদণ্ড
প্রতিনিধিঃ
এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া, সিলেট
ওই ছাত্রীর দাবি, তার বোনের স্বামী একজন দালালের মাধ্যমে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। তিনি বিষয়টি জানতেন না।
ভুয়া প্রবেশপত্র যাচাই-বাছাইয়ে ধরা পড়ার পর এমনটাই বলেছেন সিলেট সরকারি কলেজে পরীক্ষা দিতে এসে আইনি গ্যাড়াকলে থাকা পরীক্ষার্থী মদন মোহন কলেজের ছাত্রী তাহমিনা আক্তার।
এটা এ বছর এইচএসসিপরীক্ষার প্রথম দিনের ঘটনা সিলেট সরকারি কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্রে।
এখন প্রশ্ন হল দালালের মাধ্যমে মিলছে কি পরীক্ষার হলের প্রবেশপত্র?
আর এ ধরনের কতটা প্রবেশপত্র বিক্রি হয়েছিল বাজারে। কেউ কেউ বার ভুয়া প্রবেশপত্রে পরীক্ষা দিচ্ছেন কিনা। যেহেতু পরীক্ষার্থীর মধ্যে রয়েছে অনুপস্থিতির সংখ্যা।
সিলেটে এইচএসসি ও সমমানের বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী এবার ৬১হাজার ৯৯৩ জন। পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৮২৪ জন।যেটি মোট পরীক্ষার্থীর ১,৩১%।
চলতি বছর সিলেট শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ১৩ হাজার ৪৮২ জন কমে দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার ৬৮৩ জনে। শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে এসেছে বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা।
তবে কেউ কেউ বলছেন সাংসারিক দারিদ্রতার তাগিদে ছোটখাটো জায়গায় চাকুরী নিয়ে সংসারের হাল ধরতে গিয়ে বসতে পারেনি পরীক্ষার হলে।
আবার অন্যরা বলছেন অতি অল্প বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসে কেউ কেউ হাত থেকে কলম খাতা রেখে পথ ধরেছে রোজগারের দিকে। যার জন্য অনেকের এইচএসসি পরীক্ষার হলে বসার সুযোগ হয়নি।
এদিকে পরীক্ষার প্রথম দিনেই সিলেটে ঘটেছে চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা। সিলেট সরকারি কলেজ কেন্দ্রে ভুয়া প্রবেশপত্র নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে এসে হাতেনাতে ধরা পড়েন মদন মোহন কলেজের ছাত্রী তাহমিনা আক্তার।
ক্লাসরুমে প্রবেশপত্র যাচাইয়ের সময় দুই ছাত্রীর হাতে একই রোল নম্বর বিশিষ্ট প্রবেশপত্র থাকায় বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। পরে যাচাই-বাছাই করে তাহমিনার প্রবেশপত্রটি জাল বলে প্রমাণিত হয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সিলেট জেলা সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাহমুদ আশিক কবির ওই ছাত্রীকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
যদিও ছাত্রী দাবী করেছে দালালের মাধ্যমে তার বোনের স্বামী সেটি ম্যানেজ করেছে।
সিলেট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এজেডএম মাঈনুল হোসেন বলেন, প্রবেশপত্র যাচাইয়ের সময় বিষয়টি ধরা পড়ে ।
জড়িত তাহমিনা কে পুলিশের কাছে অত্যন্ত করা হয়েছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি মিডিয়া সাইফুল ইসলাম , ভুয়া প্রবেশপত্র নিয়ে আসা পরীক্ষার্থী তাহমিনা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন।
তবে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ বক্স এর ইনচার্জ এস আই দেবাশী জানিয়েছেন, বর্তমানে ওই ছাত্রী ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন
- বোরহানউদ্দিনে ইসলামী আন্দোলনের গণ সমাবেশ
- ভোলায় বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ ৫ কারবারি আটক
- বোরহানউদ্দিনে খাবারে নেশা খাওয়াইয়া অচেতন করে ২ লক্ষ টাকা চুরি অসুস্থ্য ৫ জন
শেয়ার:
- Click to share on Facebook (Opens in new window) Facebook
- Click to share on X (Opens in new window) X
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window) LinkedIn
- Click to share on Reddit (Opens in new window) Reddit
- Click to share on X (Opens in new window) X
- Click to share on Tumblr (Opens in new window) Tumblr
- Click to share on Pinterest (Opens in new window) Pinterest
- Click to share on Pocket (Opens in new window) Pocket
- Click to share on Threads (Opens in new window) Threads
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window) WhatsApp
Discover more from সমবানী
Subscribe to get the latest posts sent to your email.
