আদালতের আদেশ অমান্য করে চা বাগান কেটে ফেলার অভিযোগ,৯৯৯-এ কল
প্রতিনিধিঃ
পঞ্চগড় (তেঁতুলিয়া)
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় নিজের কেনা জমি বেদখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জমির মালিক মনিরুজ্জামান ওমর ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিবাদীদের অভিযোগ নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জমিতে না যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
গতকাল উপজেলার কানকাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওমর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কলোনীপাড়া গ্রামের মৃত.ওয়াহেদ আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় জামায়াত নেতা মো.জাহাঙ্গীর আলম (৪৫), মর্তুজ আলী (৪৩) ও লিটন মিয়া (২৫)কে অভিযুক্ত করে ওমর আলী তেঁতুলিয়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম একই ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত.নবীউল হকের ছেলে, মর্তুজ আলী মৃত শুকুর মামুদ ও লিটন মিয়া মর্তুজ আলীর ছেলে।
ভুক্তভোগী ওমরের অভিযোগ, ২০১১ সালে ডিসেম্বরে জমি ক্রয় করে ভোগ দখলে রয়েছি। ক্রয়কৃত জমির ১ একর ১৩ শতক জমিতে চা বাগান রোপনসহ মেহগুনি গাছের সারি ও ৪ চালা টিনের ঘর, ফ্লোর পাকা হাফ বিল্ডিং ঘর তৈরি করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করছিলাম। ২০১৪ সালে বিবাদীরা বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ আদালতে আমাকে বিবাদী করে মামলা করে।
ওই মামলায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জন্য আমার বিরুদ্ধে আদেশ প্রদান করেন। আদালতে উভয় পক্ষের শুনানিয়ন্তে নিষেধাজ্ঞার আবেদন খারিজ করে স্ব-স্ব অবস্থানে থাকার আদেশ প্রদান করেন। আমি অদ্যাবধি পর্যন্ত জমির ভোগ দখলে থেকে আরএস রেকর্ড আমার নামে মাঠ পর্চা ও ডিবি খতিয়ান রয়েছে।
বিবাদীরা কোন প্রকার আদালতের আদেশ না মেনে ক্ষমতার জোরে শনিবার সকালে ধারালো দা, কুড়াল ও লাঠিসোটা ও নানারকম দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার চা বাগানে প্রবেশ করে চা গাছ কেটে ফেলে জমি দখলের চেষ্টা করে। বিষয়টি জানার সাথে সাথে ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিবাদীদের বাগান কাটতে নিষেধ প্রদান করে। এ ঘটনায় ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী।
তবে অভিযোগের বিষয়য়ে বিবাদীপক্ষের জাহাঙ্গীর আলম জানান, জমি আমাদের। আমরা আমাদের জমিতে আমরা গিয়েছি। ওমর আওয়ামীলীগ আমলে ক্ষমতা জোরে এলাকার বহু মানুষের জমি দখল করেছে। একের পর এক জমি দখল করে অতিরিক্ত জমি বিক্রি করেছে। সে একটা মামলাবাজ ও ভূমিদস্যু। তার হয়রানীতে এ এলাকার অনেকেই অতিষ্ঠ। সে আমাদের ১০/১২ একর জমি দখল করেছিল।
অনেক জমি দখল ফিরে পেয়েছি। জমি আমাদের। নিয়মিত খাজনা দিয়ে আসছি। খতিয়ান ও খারিজ রয়েছে। তাই জমিতে কাজ করছি। আর সে যে ধারালো দা, কুড়াল ও লাঠিসোটা ও নানারকম দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার চা বাগানে প্রবেশ করে চা গাছ কেটে ফেলে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ করছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। যা স্থানীয়রা স্বাক্ষী রয়েছে।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুসা মিয়া বলেন, বিষয়টি শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
আরও পড়ুন
- বোরহানউদ্দিনে ইসলামী আন্দোলনের গণ সমাবেশ
- ভোলায় বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ ৫ কারবারি আটক
- বোরহানউদ্দিনে খাবারে নেশা খাওয়াইয়া অচেতন করে ২ লক্ষ টাকা চুরি অসুস্থ্য ৫ জন
শেয়ার:
- Click to share on Facebook (Opens in new window) Facebook
- Click to share on X (Opens in new window) X
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window) LinkedIn
- Click to share on Reddit (Opens in new window) Reddit
- Click to share on X (Opens in new window) X
- Click to share on Tumblr (Opens in new window) Tumblr
- Click to share on Pinterest (Opens in new window) Pinterest
- Click to share on Pocket (Opens in new window) Pocket
- Click to share on Threads (Opens in new window) Threads
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window) WhatsApp
Discover more from সমবানী
Subscribe to get the latest posts sent to your email.
