রবিবার, ১৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কলাপাড়া উচ্ছেদ আতংকিত ১৩৬ পরিবারের বন্দর চেয়ারম্যানের কাছে  দাবি নামা পেশ।

০ টি মন্তব্য 12 ভিউ 8 মিনিট পড়ুন
অ+অ-
রিসেট করুন

প্রতিনিধিঃ

নয়নাভিরাম গাইন (নয়ন) কলাপাড়া, পটুয়াখালী
print news | কলাপাড়া উচ্ছেদ আতংকিত ১৩৬ পরিবারের বন্দর চেয়ারম্যানের কাছে  দাবি নামা পেশ। | সমবানী

পায়রা বন্দরে রাস্তা নির্মাণে উচ্ছেদ আতংকে ১৩৬ পরিবারের সদস্যরা তাদের পূনর্বাসনের দাবিতে বন্দর চেয়্যারম্যানের কাছে দাবিনামা পেশ করেছে। বৃহস্পতিবার(১৭ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী’র কাছে এ দাবিনামা পেশ করাহয়। এ উপলক্ষে ১৩৬ পরিবারের পক্ষ থেকে সমাজকর্মী মোঃ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে চারজনের একটি প্রতিনিধি দল বন্দর চেয়ারম্যানের সাথে দেখা করে তাদের দাবিনামা পেশ করেন।

সাক্ষাৎশেষে প্রতিনিধি দলের সদস্য সমাজকর্মী নজরুল ইসলাম গনমাধ্যমকে বলেন,বন্দর চেয়ারম্যান তাদের জানিয়েছে জিয়া কলোনীর ১৩৬ পরিবার যে জায়গাটিতে বসবাস করে সে জায়গাটি অধিগ্রহনের আওতায় পরেনা। কারন সেটি সরকারি পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা। তবে তিনি মানবিক বিবেচনায় পরিবারগুলোর কথা চিন্তা করে উপরস্থ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলবেন যাতে পরিবার গুলোর জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করাযায়। তবে তিনি ওই প্রতিনিধি দলের কাছে বলেন,আপাতত কলোনীর যে যায়গাগুলো ফাঁকা আছে সেসমস্ত জায়গায় যেন কাজ করতে দেয়া হয়।

তবে এক্ষেত্রে ওই প্রতিনিধি দলে থাকা আরেক সদস্য জিয়াকলোনীর বাসিন্দা ইব্রাহিম শিকারী বলেন, কলোনির খালি জায়গায় যদি কাজকরে তবে বালির পানিতে সবার বসতঘর তলিয়ে যাবে। এতেকরে পরিবার গুলোর থাকার কোন পরিস্থিতি থাকবেনা। তাই তাদের পূনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে ওখানে কাজ করতে দিবে না বলে স্রেফ জানিয়ে দেন তিনি। প্রতিনিধি দলের আরেক সদস্য কলাপাড়া জনসুরক্ষা মঞ্চের সদস্য সচিব ও পরিবেশকর্মী মনোয়ারা বেগম বলেন,বন্দর চেয়ারম্যান তাদের আশ্বস্ত করেছেন পরিবার গুলোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন তিনি।

এছাড়াও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে ১৩৬ পরিবারের পক্ষ থেকে একটি আবেদন দিতে বলেছেন। সেই সাথে তিনি ওখানে কাজ করতে দিতেও অনুরোধ জানিয়েছে। তবে আমি বলবো ওই পরিবারগুলোর পুনর্বাসন না করে ওখানে যদি কাজ করে তবে তারা মহাবিপদে পড়বে। পরিবারগুলো কোনোমতে ওখানে বসবাস করতে পারবে না। এমনিতেই তাদের ছেড়ে চলে যেতে হবে। কারণ বালির পানিতেই তারা তলিয়ে যাবে। তাই বর্তমান সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি যাতে তাদের দ্রুত পুনর্বাসন করে যেন কাজ করা হয়।

এর আগে সকালে পায়রাবন্দর গেট সংলগ্ন ক্ষতিগ্রস্থ ১৩৬ পরিবারের কয়েকশত মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে একটি সমাবেশ করেন। সমাবেশে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা তাদের দাবি তুলে ধরে বলেন, আমরা ভূমিহীন ১৩৬ টি পরিবার বহুবছর ধরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী জিয়া কলোনীতে বসবাস করছি।

হঠাৎ করে এ বছর পায়রা বন্দরের রাস্তা নির্মাণের জন্য আমাদের কোনধরনের নোটিশ ছাড়া ১৩৬ পরিবারের সকলের বসতবাড়ি উচ্ছেদ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। এ দেশে রোহিঙ্গারা এসে জায়গা পায় আমরা এ দেশের নাগরিক হয়ে কেন থাকার যায়গা পাবনা। তাই আমাদের দাবি উচ্ছেদ করতে হলে সকলকে পূনর্বাসন করতে হবে। এ ছাড়া আমারা জিয়া কলোনীর এক তিল জায়গা খালি করবো না। এসময় প্রখর রৌদ্র উপেক্ষা করে জিয়া কলোনীর কয়েকশত মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন


Discover more from সমবানী

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

আর্কাইভ
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  

এই ক্যাটাগরির আরো খবর

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকিজ ব্যবহার করে। আমরা ধরে নেব আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি চাইলে অপ্ট-আউট করতে পারেন৷ গ্রহণ করুন আরও পড়ুন

Discover more from সমবানী

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading