বৃহস্পতিবার, ২৭শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৩ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালিয়ে যাওয়া ওসির সোর্স সেই যুবলীগ নেতা দুই সহোদরসহ কারাগারে!

০ টি মন্তব্য 12 ভিউ 8 মিনিট পড়ুন
অ+অ-
রিসেট করুন

প্রতিনিধিঃ

সমবানী প্রতিবেদক, সিলেট
print news | হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালিয়ে যাওয়া ওসির সোর্স সেই যুবলীগ নেতা দুই সহোদরসহ কারাগারে! | সমবানী

ওসির সোর্স হ্যান্ডকাপ সহ গ্রেফতার আসামি সেই সাইকুলকে ছিনিয়ে নেয়ায় পুলিশ এ্যাসল্ট মামলায় বহুল আলোচিত সীমান্ত কারকারবারি চাঁদাবাজ ইয়াবাকারবারি সাইকুল ইসলামসহ তার দুই সহোদর এখন জেলা কারাগারে।

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশের দায়েরকরা পুলিশ এ্যাসল্ট মামলায় বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আমল গ্রহনকারি জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের (বিশ্বম্ভরপুর) বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ আলমগীর জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে কোর্ট ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ আকবর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আদালতে পলাতক ৬ আসামি হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন প্রার্থনা করলে তিন সহোদরের জামিন আবেদন নাকচ করে অপর তিন আসামিকে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন।

কারাগারে প্রেরণকৃত তিন সহোদর সাইকুল ইসলাম, ইয়াকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদের সদস্য সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাবেক উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান সীমান্তগ্রাম শিলডুয়ারের তাজ্জুত আলীর গুণধর পুত্রদ্বয়।

প্রসঙ্গত, চোরাকারবারি, মাদক ও মারামারি’র মামলার আসামি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদের সদস্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাবেক উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান তাজ্জুত আলীর ছেলে সাইকুলকে গত (২৪) অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় পুলিশ সীমান্তের শিলডুয়ারের চান্দের বাজার থেকে গ্রেফতার করে হাতে হ্যান্ডকাপ পড়ায়।

পরে সিএনজিযোগে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় চান্দের বাজার এলাকায় পুলিশের উপর আক্রমণ করে তাকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। হামলায় এক থেকে দেড়শ মানুষ জড়িত ছিলেন বলে জানান সাইকুলকে গ্রেফতারকারি থানার এসআই নবী হোসেন।

ওই ঘটনায় গত (২৫ অক্টোবর) শুক্রবার বিশ্বম্ভরপুর থানায় সাইকুলকে প্রধান আসামি করে ৩৪ জনের নামউল্লেখসহ ১৫০জনকে আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। ওই ঘটনার পর জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল অফিসার জানান, সাইকুলের বিরুদ্ধে চোরাকারবারি, মাদক ও মারামারি’র মামলা রয়েছে। গ্রেফতার করে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে থানায় নিয়ে আসার সময় পুলিশের উপর হামলা করে সে হ্যান্ডকাপসহ বীরদর্পে তাকে তার লালিত লোকজন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

অভিযোগ রয়েছে,সম্প্রতি বিশ্বম্ভরপুর থানায় নবাগত ওসি হিসেবে কাউছার আলম যোগদানের পর থেকে চিনাকান্দি সীমান্ত চোরাচালানের ঘাট নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে সাইকুল থানার ওসির সোর্স পরিচয়ে থানা পুলিশ, পুলিশের উধ্বর্তন অফিসার, বিজিবির অফিসার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম ভাঙ্গিয়ে চিনি, কসমেটিকস, মসলা, বিদেশি মাদক, ইয়াবা কারবারি, আমদানি নিষিদ্ধ ভারতীয় সেখ নাসির বিড়ি, কাঁচা-শুকনা মাছ, ফলমুল ,খাদ্য-সামগ্রী, গবাধিপশু, রসুন চোরাকারবারিদের নিকট থেকে চাঁদা আদায় করতে থাকে।

সাইকুলের সীমান্ত চোরাচালান, চাঁদবাজির ব্যাপারে ওসি কাউছার আলমকে এলাকার লোকজন বারবার অভিযোগ করলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগের মাঠ পর্যায়ে তদন্ত এমনকি মাদকসহ সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধে কোনো দৃশ্যমান আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) পদে থাকা অবস্থায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানা থেকে কাউছারকে পুলিশ হেডকোয়াটার্স ও সিলেট রেঞ্জ ডিআইজির আদেশ বলে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার শহর পুলিশ ফাঁড়িতে বদলি করা হয়। কিন্তু তিনি সেখানে যোগদান না করে তদবীর বাণিজ্যের মাধ্যমে কৌশলে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসাবে যোগদান করেন। ।

আরও পড়ুন


Discover more from সমবানী

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

আর্কাইভ
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  

এই ক্যাটাগরির আরো খবর

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকিজ ব্যবহার করে। আমরা ধরে নেব আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি চাইলে অপ্ট-আউট করতে পারেন৷ গ্রহণ করুন আরও পড়ুন

Discover more from সমবানী

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading