শ্রীমঙ্গলে কাবিখা টিআর এর চাল মজুদদারের বিরোদ্ধে অভিযানের ধুম্রজাল
প্রতিনিধিঃ
মনজু বিজয় চৌধুরী, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে কাবিখা টিআর এর চাল সরকারী বস্তাসহ জৈনক ব্যবসায়ীর ব্যাক্তিগত গোদামে থাকার গোপন সুত্রে খবর পেয়ে ডিবি ও শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানের পরবর্তী সঠিক কোন তথ্য সাংবাদিকগনকে দিতে পারেননি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। চাল ব্যবসায়ীদের কারসাজি এবং বাজারে চালের দাম কমে যাওয়ায় গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের জন্য নেওয়া টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের উদ্দেশ্য সফল হচ্ছে না।
মৌলভীবাজার ডিবি পুলিশ ও শ্রীমঙ্গল থানা অফিসার ইনচার্জ একে অপরের উপর দায় চাপাচ্ছেন। অভিযানের ফলাফল নিয়ে তৈরী হচ্ছে ধুম্রজাল। একজন চাউল ব্যবসায়ী কাবিখা/ টি,আর কয়েক শত বস্তা মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিখানা, মাজার, মন্দিরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে ডিও কিনে মজুদ রেখেছেন বলে গোপন সুত্রে খবর পায় ডিবি পুলিশ। এর ভিক্তিতে গত বৃহস্পতিবার ৮ মে রাত ৯ টায় ইউছুবপুর লেবু মিয়ার বাড়িতে শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ সহ অভিযান চালায় তারা। অভিযান পরিচালনা করে কি পেয়েছেন কিছুই বলতে পারছেননা অভিযানকারী আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন ব্যাক্তি জানান, একজন ব্যবসায়ী ইউছুবপুর এলাকার লেবু মিয়ার বাড়িতে টিআর কাবিখার চাল বাজার মুল্যের অর্ধেক দামে ডিও ক্রয় করে গোদাম থেকে মাল ডেলিভরী নিয়ে মজুদ করেন। পরে সরকারী বস্তা বদল করে অন্যত্র বিক্রি করেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান করলেও তারা তালাবদ্ধ রোম খোলে দেখেননি। তাদের অনুমান এখানে ৪ শত বস্তা মজুদ রয়েছে। পরে তারা শুনেছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারে জিম্মায় মাল রাখা হয়েছে। তাদের প্রশ্ন,কাবিখার যে চাল কাজের জন্য বরাদ্ধ হয় তা ডিলারের নিকট অর্ধেক দামে বিক্রি করলে কাজ সস্পন্ন করতে বাকী টাকা কি কর্তৃপক্ষ ভর্তূকি দেন কি? এছাড়া টিআর এর চালে যে প্রতিষ্ঠানের কমিটি কম দামে ডিলারের নিকট ডিও বিক্রি করেন তারা প্রতিষ্টানের নির্ধারিত উন্নয়নের কাজের টাকা তাদের নিকট থেকে দেন কি। খোলা বাজারে বিক্রি করলে উচিৎ দাম পাওয়া যায়। একি সাথে গরিব মানুষ কম দামে চাল কিনতে পারে।
শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের ইছুবপুর এলাকার ওয়ার্ড মেম্বার শাহজাহান মিয়া বলেন, অভিযানের বিষয় আমি কিছুই জানিনা। চেয়ারম্যান মেম্বারের নিকট ঘরের মালামাল জিম্মায় রাখার বিষয় প্রশ্ন করলে বলেন, আমি এই প্রথম আপনাদের নিকট থেকে শুনলাম। কথাটি সত্য নয়।
শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দুধু মিয়া বলেন, আমি এই অভিযান সম্পর্কে আপনাদের নিকট থেকে শুনলাম। আমি এব্যাপারে অবগত নয়। কাবিখার চাল বিক্রি করা যায় কিনা জানতে চাইলে বলেন, বিক্রি করার কোন বিধান নাই। চাল দিয়ে কাজ করাতে হবে।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা ডিবির অভিযানের খবর পেয়ে ইছুবপুর যাই। গিয়ে দেখি ডিবি পুলিশ বের হয়ে আসছে। বাড়ির গেইট ভিতর আর প্রবেশ করিনি। তাই কিছুই বলতে পারবোনা।
মৌলভীবাজার ডিবি পুলিশের ইনচার্জ আবু জাফর মো: মাহফুজুল কবির কে অভিযানে কত বস্তা চাল পেয়েছেন, তা বৈধ কি না প্রশ্ন করলে তিনি জানান, আমরা তালাবদ্ধ ঘরে প্রবেশ করি নাই। ঘরের রাখা চাল শ্রীমঙ্গল থানার ওসি,কে বৈধ্য কাগজ পত্র যাচাই বাছাইয়ের জন্য দায়ীত্ব দেওয়া হয়। তিনি বলতে পারবেন।
কাবিখা,টিআর এর চালের বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইসলাম উদ্দিন বলেন, ডিলার কাবিখা,টিআর এর চাল ক্রয় করার ৮০% বৈধ্যতা আছে। কমিটি করে দেওয়ার পর আমাদের কোন দায়ীত্ব নেই। কমিটি কি করবে তাদের ব্যাপার।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো: ইসরাইল হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।
আরও পড়ুন
- বোরহানউদ্দিনে ইসলামী আন্দোলনের গণ সমাবেশ
- ভোলায় বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ ৫ কারবারি আটক
- বোরহানউদ্দিনে খাবারে নেশা খাওয়াইয়া অচেতন করে ২ লক্ষ টাকা চুরি অসুস্থ্য ৫ জন
Discover more from সমবানী
Subscribe to get the latest posts sent to your email.