শনিবার, ১৯শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাউখালীতে দালালদের ৪০ হাজার টাকা দিলেই পাওয়া যায় কাতার চ্যারিটি গভীর নলকূপ।

০ টি মন্তব্য 9 ভিউ 6 মিনিট পড়ুন
অ+অ-
রিসেট করুন

প্রতিনিধিঃ

রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, কাউখালী, পিরোজপুর।
print news | কাউখালীতে দালালদের ৪০ হাজার টাকা দিলেই পাওয়া যায় কাতার চ্যারিটি গভীর নলকূপ। | সমবানী

পিরোজপুরের কাউখালীতে প্রয়োজনীয় গভীর নলকূপ না থাকার ফলে সুপেয় পানির জন্য গভীর নলকূপের চাহিদা অনেক বেশি।
বিশুদ্ধ পানির জন্য সরকারি ভাবে বছরে প্রায় শতাধিক গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। তবে এতে দেড় লক্ষাধিক মানুষের পানির চাহিদা পূরণ হয় না।

এ উপজেলার অধিকাংশ মানুষ গরিব হওয়ায় নিজেদের অর্থায়নে গভীর নলকূপ স্থাপন করতে পারে না। যে কারণে চাহিদা বেশি থাকায় বিভিন্ন দাতা সংস্থা বিনামূল্যে গভির নলকূপ বরাদ্দ দিয়ে থাকেন।

এই সুযোগে এক শ্রেণীর অসাধু ঠিকাদার দালাল চক্রের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিনামূল্যে না দিয়ে সাধারণ গ্রাহকদের নিকট থেকে হাতিয়ে নেয় লক্ষ লক্ষ টাকা।

অনুসন্ধান করে জানা গেছে ,কাতার ভিত্তিক সংস্থা কাতার চ্যারিটি স্থানীয় ঠিকাদারের মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গভীর নলকূপ বসানোর ব্যবস্থা করছে।

যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ -২৫ অর্থবছরে কাউখালী উপজেলায় একশত গভীর নলকূপ বসানোর কার্যক্রম চলমান আছে।কাতার চারাটি সূত্রে জানা গেছে , গরিব,অসহায় ও দুস্থ মানুষের জন্য

বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উন্নত প্লাটফর্ম সহ এক একটি গভীর নলকূপের জন্য ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ করেন।
তবে ঠিকাদার সুনির্দিষ্ট একটি চক্র দিয়ে সাধারণ মানুষেরকে না দিয়ে ধনাঢ্য ব্যক্তিদের নিকট থেকে একটি গভীর নলকূপের জন্য ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা গ্রহণ করে বরাদ্দ দেয় বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ফলে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

এই চক্রটি সাধারণ মানুষকে সংস্থার বরাদ্দ কম বলে স্থানীয় ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যান সহ অন্যান্যদের ভুল বুঝিয়ে গ্রাহকদের নিকট থেকে এই মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

জানা যায় যে, কাতার চ্যারেটি নামক এই সংস্থাটি কাউখালী সদর সহ পাঁচটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গ্রাহকদের নিকট থেকে ৪০/৪৫ হাজার টাকা নিয়ে একটি গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেয়। অথচ সংস্থাটির গভীর নলকূপ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বসানোর কথা থাকলেও এই চক্রটি
হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।

এ ব্যাপারে এডভোকেট জহুরুল ইসলাম বলেন , সংস্থাটি চোখ ফাঁকি দিয়ে এই টাকা গ্রহণ করছেন। এটা একটা অপরাধ।
তিনি আরো বলেন এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা স্বজল মোল্লা জানান, অভিযোগ পাওয়া গেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন


Discover more from সমবানী

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

থেকে আরও পড়ুন

আর্কাইভ
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১  

এই ক্যাটাগরির আরো খবর

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকিজ ব্যবহার করে। আমরা ধরে নেব আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি চাইলে অপ্ট-আউট করতে পারেন৷ গ্রহণ করুন আরও পড়ুন

Discover more from সমবানী

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading