সুনামগঞ্জে মা -ছেলের জোড়া গলাকাটা লাশ উদ্ধার
প্রতিনিধিঃ
এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া

সুনামগঞ্জ জেলা শহরে থাকা ভাড়া বাসা থেকে ফরিদা বেগম ও তার ছেলে মিনহাজুল ইসলাম সহ মা -ছেলে দু’জনের গলাকাটা লাশ উদ্যার করেছে পুলিশ। এ ঘটনা পর থেকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সুনামগঞ্জ শহরে। তবে আতঙ্ক দূর করতে র্যাব ছায়া তদন্তে নেমেছে।
নিহতরা হলেন- জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের বশিয়াখাউরি গ্রামের গ্রামের মৃত জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪৫), তার ছেলে মিনহাজুল ইসলাম (২০)।
মা-ছেলে জেলা শহরের হাছন নগর আবাসিক এলাকায় পুলিশ সুপারের (এসপি) বাংলোর পাশে ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন।
মঙ্গলবার ভোর রাত পূর্ববর্তী কোন এক সময় এই পারিবারিক কলহের জের ধরে নিকটাত্বীয়রা এ জোড়া খুনের ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
সুনামগঞ্জ জেলাপুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জাকির হোসেন মা-ছেলে জোড়া খুনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ হত্যাকারিদের শনাক্তকরণে তদন্তকাজ চলমান রেখেছে।
মঙ্গলবার পুলিশ ও জেলা শহর হাছন নগরের একাধিক বাসিন্দা জানান , মঙ্গলবার সকালে গৃহকর্মী বাসায় কাজে এসে ফরিদা বেগম ও তার ছেলে মিনহাজুলের রক্তাক্ত মরদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে ওই বাসার আশে পাশে থাকা প্রতিবেশী এবং থানা পুলিশকে খবর দেন। লাশ দুটির পাশেই পড়ে ছিল রক্তমাখা ধারালো বটি দা ।
এরপর পুলিশ বাসা থেকে মা-ছেলে দু’’জনের মরদেহ উদ্যার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
মঙ্গলবার বিকেলে নিহতদের স্বজন ও জেলা শহর হাছন নগরের একাধিক বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রবাসী আত্মীয়ের বাসায় ফরিদা বেগম, তার ছেলে মিনহাজুল এবং তাদের অপর নিকটাত্বীয় নার্গিস বেগমের পরিবার একই বাসায় ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করতেন।
এদিকে একই বাসায় বসবাসরত নিহত ফরিদার খালাতো বোনের দুই ছেলে রহস্য জনককারনে হত্যাকান্ডের পর থেকে বাসা থেকে উধাও হয়ে গেছেন। অপরদিকে জোড়া খুনের ঘটনায় থানা পুলিশের পাশাপাশি, জেলা গোয়েন্দা ডিবি) পুলিশ ও সিলেট থেকে যাওয়া পিবিআই পুলিশ, র্যাবের অপর একটি টিম ছায়া তদন্তে নেমেছে।
আরও পড়ুন
- বোরহানউদ্দিনে ইসলামী আন্দোলনের গণ সমাবেশ
- ভোলায় বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ ৫ কারবারি আটক
- বোরহানউদ্দিনে খাবারে নেশা খাওয়াইয়া অচেতন করে ২ লক্ষ টাকা চুরি অসুস্থ্য ৫ জন
Discover more from সমবানী
Subscribe to get the latest posts sent to your email.