বুধবার, ৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

  ইউপি সদস্য জামাল গংরা বেপরোয়া।। থানায় মামলা বিজিবি কর্তৃক জব্দকৃত চোরাই পথে আসা মালামাল  ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টায়

০ টি মন্তব্য 87 ভিউ 12 মিনিট পড়ুন
অ+অ-
রিসেট করুন

প্রতিনিধিঃ

সমবানী প্রতিবেদক, সিলেট
print news |   ইউপি সদস্য জামাল গংরা বেপরোয়া।। থানায় মামলা বিজিবি কর্তৃক জব্দকৃত চোরাই পথে আসা মালামাল  ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টায় | সমবানী

সুনামগঞ্জ সীমান্তে চোরাকারবারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সুনামগঞ্জে চোরাকারবারীরা বিজিবি সদস্য ও পেশাদার সাংবাদিকের উপর হামলা ও করেছে। পুলিশের কিছু কিছু কর্তাদের সাথে চোরাকারবারীদের দহরম- মহরম গড়ে ওঠায়
কিছুতেই থামছে না তারা। বিজিবি কর্তৃক জব্দ করা মালামালও এবার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে সুনামগঞ্জের আইন শৃঙ্খলা কিছু ব্যক্তি বিশ্বাসের কারণে।

চোরাকারবারী কর্তৃক
ইউপি সদস্য জামাল সহ পাঁচ কয়লা চোরাকারারির নামে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানায় মামলা করেছে বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশ (বিজিব)।
এজহার সূত্রে জানা যায় বিজিবির মামলার আসামিরা হল, উপজেলার উওর বড়দল ইউনিয়নের সীমান্ত গ্রাম রজনী লাইনের রেনু মিয়ার ছেলে ওই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জামাল, পেশায় জনপ্রতিনিধি হলেও মূলত তাকে চোরাকারবারী জামাল বলে চীনে সকলেই।
সেএকই গ্রামের মৃত সোবাহানের ছেলে মতি মিয়া, তার ছেলে মোরশেদ আলম, খোরশেদ আলম, উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্ত গ্রাম পুটিয়ার জলিল মিয়া ছেলে ( মতি মিয়ার মেয়ের জামাতা) শফিকুল ইসলাম।
২৮-বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশ (বিজিবি)’র তাহিরপুরের টেকেরঘাট কোম্পানী হেডকোয়ার্টারের বিজিবি হাবিলদার যতীন্দ্র মোহন সিংহ বাদী হয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারতীয় জ¦ালানী কয়লা এনে বিভিন্ন সময় বিক্রয় করা ও সরকারি কাজে বাধা দেয়া, বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ এনে ওই পাঁচ কয়লা চোরাকারবারির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে তারা পলাতক রয়েছেন।

বৃহস্পতিবারতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বিজিবি।
মামলার এজাহারে পলাতক আসামিদের হেফাজত থেকে ০১টি রেজিষ্ট্রেশান বিহিন ভারতীয় চোরাই মোটরসাইকেল ও শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে নিয়ে আসা ১৫০ কেজি জ¦ালানী কয়লা জব্দ দেখানো হয়েছে। জব্দমুল্য প্রায় ১ লাখ ৩ হাজার টাকা।
শুক্রবার বিজিবি, মামলার এজাহার ও স্থানীয় সীমান্ত গ্রামের মানুষজন সুত্রে জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরেই তাহিরপুরের চাঁনপুর-টেকেরঘাট বিজিবির বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্তের ওপার ভারত থেকে একাধিক সংঘবদ্ধ চক্র শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারতে থেকে চোরাচালানের কয়লার বস্তা এপারে নিয়ে আসার পর মোটরসাইকেল, ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সা, পিকআপ, লরিতে পরিবহন করে নিরাপদে বিক্রির জন্য পাশর্^বর্তী বড়ছড়া স্থল শুল্ক ষ্টেশনের কিছু অসাধু কয়লা আমদানিকারকের ডিপোতে মজুদ করে রাখে।
পরবর্তীতে এলসিকৃত কয়লার সাথে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে নিয়ে আসা কয়লা গুলো মিনিপাস, সমিতির টোকেন, বিল অফ এন্ট্রির ফটোকপি দিয়ে নির্ব্রিগ্নে আমদানিকৃত কয়লা হিসাবে দেশের বিভিণœ স্থানে নিরাপদে বিক্রয় করে আসছে।
বিজিবির টহলদল সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ওইসব চোরাচালানের কয়লা, পরিবহনে থাকা মোটরসাইকেল, ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সা, পিকআপ, লরি জব্দ করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় সংঘবদ্ধ চোরাকারবারিদের দ্বারা, হুমকি, হামলা ও সরকারিকাজে বাঁধার সম্মুখীন হন।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার টেকেরঘাট কোম্পানী হেডকোয়ার্টারের বিজিবি নিয়ন্ত্রিত সীমান্ত এলাকার সড়কপথ ব্যবহার করে মোটরসাইকেল যোগে চোরাচালানের কয়লার বস্তা বড়ছড়া শুল্ক ষ্টেশনে নিয়ে আসার পথে বিজিবি টহল দল জব্দ করে।
এরপর অভিযুক্ত চোরাকারবারিরা সংঘবদ্ধ হয়ে জব্দকৃত কয়লা, চোরাই মোটরসাইকেল জোর পূর্বক বিজিবির হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নিতে হুমকি সহ সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান করে।

সীমান্তের চোরাকারবারিদের লাইনম্যান: অভিযোগ রয়েছে সীমান্তের চোরাকারবাদির সাথে যোগসাজস তৈরী করে ব্যাটালিয়নের চাঁনপুর-টেকেরঘাট বিওপির নিয়ন্ত্রিত এলাকায় গত কয়েকবছর ধরে উপজেলার উওর বড়দল ইউািনয়নের রজনীলাইন গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নাসিরের ছেলে সীমান্তের পেশাদার চোরাকারবারি হারুন ওরফে ট্যাবলেট হারুন, চাঁনপুরের আব্দুর রহমানের ছেলে জহুর, উওর শ্রীপুরের বড়ছড়ার মৃত ফরিদ মিয়ার ছেলে আক্কল আলী ওরফে সোর্স আক্কইল্যা, পার্শ্ববর্তী বুরুঙ্গাছড়ার একরাম উল্লাহর ছেলে মাহমুদ আলীসহ বেশ কয়েকজন সংঞবদ্ধ হয়ে কয়লা সহ সব ধরণের সীমান্ত চোরালানের ভারতীয় পন্য সামগ্রী, কসমেটিকস, মসলা, ফলমুল, ,গবাদিপশু, বিদেশি মদ, ইয়াবা, গাঁজা, কয়লা বস্তার বিজিবির নজর ফাঁ*কি দিয়ে নিরাপদে সীমান্ত থেকে সড়িয়ে নিতে থানা পুলিশ, পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, বিজিবিসহ বিভিন্ন আইনশৃস্খলা বাহিনীর নাম ভাঙ্গিয়ে তাদেরকে ম্যানেজ করার কথা বলে নিয়মিত সীমান্ত চোরাচালানে সহযোগিতা ও চাঁদাবাজি করে আসছে।

শুক্রবার সন্ধায় জানতে চাইলে সীমান্ত চোরাকারবারিদেও স্বঘোষিত লাইনম্যান উপজেলার সীমান্ত গ্রাম রজনীলাইন গ্রামের হারুন তার বিরুদ্ধে আসা সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেন। একই দিন সন্ধায় আক্কল আলী, মাহমুদ আলী, জহুর মিয়ার মোবাইল ফোনে অভিযোগ সম্পের্কে জানতে চাইলে তারা সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে দ্রুত মুফোটোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

শুক্রবার সন্ধায় তাহিরপুর থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে বিজিবি কতৃক মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেন বলেন আসামিরা পলাতক রয়েছে।।

আরও পড়ুন


Discover more from সমবানী

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

আর্কাইভ
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  

এই ক্যাটাগরির আরো খবর

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকিজ ব্যবহার করে। আমরা ধরে নেব আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি চাইলে অপ্ট-আউট করতে পারেন৷ গ্রহণ করুন আরও পড়ুন

Discover more from সমবানী

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading