বাংলাদেশ সফরের আগে দুশ্চিন্তায় দক্ষিণ আফ্রিকা
প্রতিনিধিঃ
মোঃ শাহিন, বার্তা সম্পাদক

বাংলাদেশের সফরের জন্য ঘোষিত দক্ষিণ আফ্রিকার ১৫ সদস্যের টেস্ট দলে মাত্র একজনেরই বাংলাদেশে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা ছিল। ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বাংলাদেশ সফরের দুটি টেস্টই খেলা টেম্বা বাভুমাই এবারের সফরে প্রোটিয়াদের অধিনায়ক। তবে বাংলাদেশে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা থাকা একমাত্র সেই খেলোয়াড়কে দেশে রেখেই নতুন অধিনায়কের নেতৃত্বে বাংলাদেশে আসতে হতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। চোটের কারণে সংশয় তৈরি হয়েছে বাভুমার বাংলাদেশ সফর নিয়ে।
দক্ষিণ আফ্রিকা দল এই মুহূর্তে আবুধাবিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলছে। শুক্রবার সেই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই কনুইয়ে চোট পান বাভুমা, যে কারণে ব্যাটিং থেকে অবসরও নিতে হয় তাঁকে। ৩৫ বছর বয়সী বাভুমা ফিল্ডিংয়েও নামতে পারেননি। আগামীকাল সিরিজের পরের ম্যাচেও তাঁর খেলার সম্ভাবনা নেই।
অধিনায়ক এখন দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। বাভুমা শেষ পর্যন্ত না আসতে পারলে বাংলাদেশ সফরে দক্ষিণ আফ্রিকা দলকে নেতৃত্ব দিতে পারেন এইডেন মার্করাম। এর আগে বাংলাদেশ সফরের দল থেকে চোটের কারণে ছিটকে গেছেন পেসার নান্দ্রে বার্গার।
বাভুমার কনুইয়ের চোটটা অবশ্য পুরোনো। ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি খেলতে ভারত সফরে থাকার সময় প্রথম কনুইয়ের চোটে পড়েন তিনি। ওই চোট দলের সঙ্গে ইংল্যান্ডে যেতে দেয়নি তাঁকে। বাভুমা দলে ফেরেন ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। তবে তাঁর নেতৃত্বে গ্রুপ পর্ব খেলেই বিদায় নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর তাঁকে টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেও ওয়ানডে ও টেস্টে বাভুমাই এখনো অধিনায়ক দলটির।

কনুইয়ের চোটে সঙ্গে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটেও ভুগিয়েছে বাভুমাকে। গত বছর ভারতের বিপক্ষে বক্সিং ডে টেস্টে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে সিরিজ থেকেই ছিটকে পড়েন। এরপর নিউজিল্যান্ড সফরে যেতে না পারলেও সুস্থ হয়ে এসএটোয়েন্টিতে খেলেন বাভুমা। সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে খেলার পর আবারও চোটে পড়লেন প্রোটিয়া অধিনায়ক।
চলমান বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ছয়টি ম্যাচ হাতে আছে দক্ষিণ আফ্রিকার। বাংলাদেশ সফরের পর ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি দুই ম্যাচের সিরিজ খেলবে দলটি। শীর্ষ দুইয়ে থেকে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে অন্তত পাঁচটি ম্যাচ জিততেই হবে তাদের।

২০১৫ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ ড্র করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃষ্টিতে বেশির ভাগ সময় নষ্ট হওয়ায় ড্র হয় মিরপুর ও চট্টগ্রামের দুটি ম্যাচ। সফরে টেস্ট দলে থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কোনো ম্যাচও খেলেননি কাগিসো রাবাদা। এই ফাস্ট বোলার আছেন এবারের সফরের দলেও।
Discover more from সমবানী
Subscribe to get the latest posts sent to your email.