জনবল সংকটে: বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা
প্রতিনিধিঃ
মনজু বিজয় চৌধুরী, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা ৫০শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেহাল অবস্থা, কর্মরত বাবুর্চির দ্বারা চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে নানান অভিযোগ রয়েছে। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা অভিযোগ করলেও কোনো পরিবর্তন নেই।
অনিয়ম,দুর্নীতি এবং জনবল সংকটের কারণে চরম বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে বড়লেখা উপজেলা ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। হাসপাতালে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট না থাকার কারণে বর্তমানে এক্সরে করা যাচ্ছে না। লোডশেডিংয়ের বিপরীতে জেনারেটর থাকলেও তেল বরাদ্দ নেই। ফলে বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারে থাকে রোগীরা। এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র আশ্রয়স্থল।
সোস্যাল মিডিয়ায় জানা যায়, গত ৫মে সোমবার রাতে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইমার্জেন্সি বিভাগে রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসলে তাদেরকে কর্মরত বাবুর্চি দ্বারা চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এছাড়াও অসংখ্য অভিযোগ, স্থানীয়দের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া, সবকিছু মিলে দানা বেঁধে সৃষ্টি করেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়ায়।
স্থানীয়রা বলেন, এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসলে বাবুর্চি, গেইটম্যান দ্বারা চিকিৎসা প্রদান করা হয়।বাবুর্চি পরিমল দাস ও গেইটম্যান জরুরী বিভাগে এসে রোগীদের সেবা দেন। চিকিৎসা সেবা দিয়ে টাকাও দাবি করেন। এছাড়াও সরকারি এম্বুলেন্স তাদের সরকারি ফি ছাড়াও আরো অতিরিক্ত টাকা দাবি করেন। এভাবে চলছে উপজেলা ৫০শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
বাবুর্চি পরিমল দাস বলেন, নুরুল আলম রানা নামের ডাক্তার অনুমতি দেওয়ায় আমি রোগীর পেশার চেক করি। আবার বলেন হাসপাতালে রোগী বেশি থাকলে আমরা প্রাথমিকভাবে রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করি।
ডাক্তার নুরুল আলম রানা বলেন, গত ৫মে আমার ডিউটি ছিল আমি ছিলাম রোগী দেখতে। বাবুর্চি রোগীর পেশার মাপছিল বেশ কিছু করে নি যে কেউ পেশার মাপতে পারে। আবার বলেন, রোগী গুরুত্বপূর্ণ থাকায় বাবুর্চি পেশার মাপছিল। ডাক্তার কম থাকার কারণে তারা রোগী দেখতে সহযোগিতা করে।
আমিনা বেগম নামের এক রোগী জানান, হাসপাতালে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট না থাকার কারণে বর্তমানে এক্সরে করা যাচ্ছে না। লোডশেডিংয়ের বিপরীতে জেনারেটর থাকলেও তেল বরাদ্দ নেই। ফলে বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারে থাকে রোগীরা।
সামগ্রিক ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে কথা বললে জানান, বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট রয়েছে। মানুষের কাঙ্খিত সেবা দিতে আমাদের কষ্ট হচ্ছে। সাধ্যের মধ্যে যতটুকু সেবা দেয়া সম্ভব তা আমাদের ডাক্তার নার্সরা রোগীদের দিচ্ছেন। বাবুর্চির বিষয়ে আমরা কঠোরভাবে ব্যবস্থা নিয়েছি। জনবল সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলা সিভিল সার্জন ডা. মামুনুর রহমান বলেন, বাবুর্চি ব্লাড পেশার মাপার লোক না, তাকে পেশার মাপার জন্য দেওয়া হয় নাই তার বিষয়ে আমি দেখছি। চিকিৎসক ও নার্সসহ যে জনবল থাকার কথা তার অর্ধেকও নেই। খুব কষ্ট করে হাসপাতাল চালাতে হচ্ছে। হাসপাতালে ডাক্তার বাড়ানোর জন্য আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। আশা করা যায় দ্রুত সমস্যা সমাধান হবে।
আরও পড়ুন
- বোরহানউদ্দিনে ইসলামী আন্দোলনের গণ সমাবেশ
- ভোলায় বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ ৫ কারবারি আটক
- বোরহানউদ্দিনে খাবারে নেশা খাওয়াইয়া অচেতন করে ২ লক্ষ টাকা চুরি অসুস্থ্য ৫ জন
Discover more from সমবানী
Subscribe to get the latest posts sent to your email.