সমাজ কে পরিবর্তনে নারী-পুরুষদেরপারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বৃদ্ধি করতে হবে—–দেবজিৎ সিংহ
প্রতিনিধিঃ
এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া, সিলেট
সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক ও রাজস্ব) দেবজিৎ সিংহ বলেছেন, সমাজকে পরিবর্তন করতে হলে নারী-পুরুষের পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বৃদ্ধি করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থায় যথাযথ পরিবর্তন এনে সমাজে প্রকৃত শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। প্রকৃত শিক্ষার প্রসার ঘটলে মূল্যবোধ বৃদ্ধির পাশাপাশি নাগরিকদের মাঝে নিয়ম ভাঙার প্রবণতা কমে আসবে। তিনি নতুন বাংলাদেশে নারী-পুরুষ কোন বৈষম্য থাকবে না।
৩০ জুন, সোমবার সকাল১০ টায় সিলেটে সময়ের ব্যবহার সংক্রান্ত পরিসংখ্যান (অবৈতনিক পরিচর্যা ও গৃহস্থালি কাজ পরিমাপ) বিষয়ক বিভাগীয় ডায়ালগ এ
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন তিনি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এর ডেমোগ্রাফি এন্ড হেলথ উইং এবং UN Women Bangladesh এর যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত Making Every Woman and Girl Count (MEWGC) Phase 2 কার্যক্রমের আওতায় নগরীর একটি অভিজাত হোটেলের কনফারেন্স হলে বিভাগীয় পর্যায়ে Gender Data ব্যবহারকারীদের সমন্বয়ে এ Divisional User-Producer ডায়ালগটি অনুষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী নারীদের গৃহস্থালি এবং অবৈতনিক অন্যান্য কাজকে অর্থনৈতিকভাবে স্বীকৃতি প্রদানের উপর গুরুত্বারোপ করে এ ডায়ালগটি অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেটের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ডেমোগ্রাফি এন্ড হেলথ উইং এর পরিচালক মো. এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক ও রাজস্ব) দেবজিৎ সিংহ। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্মসচিব শোভা শেহনাজ এবং স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক সুবর্ণা সরকার।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সিলেট বিভাগীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত যুগ্মপরিচালক মো. ফিরোজ ইবনে ইউসুফ। বিষয়ভিত্তিক পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে মূল বিষয় তুলে ধরেন Making Every Woman and Girl Count (MEWGC) Phase 2 এর ফোকাল পয়েন্ট (উপপরিচালক) আসমা আখতার। বিভিন্ন জরিপ ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এতে তুলে ধরা হয়েছে যে এদেশে পুরুষদের তুলনায় নারীরা অবৈতনিকভাবে ৭.৬ গুন গৃহস্থালি এবং ৬ গুন পরিচর্যাকর্মীর ভূমিকায় কাজ করে যার কোন অর্থনৈতিক স্বীকৃতি নেই অর্থাৎ জিডিপিতে অন্তর্ভূক্ত হচ্ছে না। এরপর বিষয়ভিত্তিক মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা নারীদের অবৈতনিক কাজকে অর্থনৈতিক স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রেও নারীদের জন্য সহনশীল পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং মানসম্মত ডে-কেয়ার সেন্টার চালু করার উপর গুরুতারোপ করেন।
আরও পড়ুন
- বোরহানউদ্দিনে ইসলামী আন্দোলনের গণ সমাবেশ
- ভোলায় বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ ৫ কারবারি আটক
- বোরহানউদ্দিনে খাবারে নেশা খাওয়াইয়া অচেতন করে ২ লক্ষ টাকা চুরি অসুস্থ্য ৫ জন
শেয়ার:
- Click to share on Facebook (Opens in new window) Facebook
- Click to share on X (Opens in new window) X
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window) LinkedIn
- Click to share on Reddit (Opens in new window) Reddit
- Click to share on X (Opens in new window) X
- Click to share on Tumblr (Opens in new window) Tumblr
- Click to share on Pinterest (Opens in new window) Pinterest
- Click to share on Pocket (Opens in new window) Pocket
- Click to share on Threads (Opens in new window) Threads
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window) WhatsApp
Discover more from সমবানী
Subscribe to get the latest posts sent to your email.
