স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার আলীহাট ইউনিয়নের ১ কিলোমিটার একটি গ্রামীন রাস্তা পাকা না করায় প্রতিনিয়তই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের। একটু বৃষ্টি হলেই ভোগান্তি বেড়ে যায় দ্বিগুণ, হাঁটু পরিমাণ কাঁদাপানিতে চলাচল করা হয়ে যায় দুষ্কর।
এতে ব্যহৃত হচ্ছে কৃষিপণ্য বাজারজাত করণ,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ছে প্রভাব বলছেন স্থানীয়রা। দ্রুত রাস্তাটি পাকা করে দিয়ে অভিশপ্ত এই সমস্যা থেকে উত্তরণ করে দিবে সরকার এমন প্রত্যাশা তাদের।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাকিমপুর উপজেলার আলীহাট ইউনিয়নের ইটাই গ্রামের মামুনের বাড়ি থেকে বাঁশমুড়ি গ্রামের শহিদুল ইসলামের বাড়ি পর্যন্ত ১ কিলোমিটার রাস্তাটি বৃষ্টির কারনে হাঁটু পরিমাণ কাঁদা হয়ে আছে ফলে মানুষজন চলাচল করতে পারছে না।
এই রাস্তা দিয়ে বাওনা, ইটাই,বাঁশমুড়ি,আলীহাট সহ বেশিকিছু গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ চলাচল করে।তারা ইচ্ছে করলেও কৃষি পণ্য বাজারে নিয়ে যেতে পারছে না কৃষকরা আবার অসুস্থ মানুষকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে পারছে না রোগীর স্বজনরা এজন্য পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। রাস্তারটি কারনে গ্রামীন অর্থনীতিতে পড়ছে বড়ধরনের প্রভাব।
স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, বর্ষাকাল আসলে বাড়ি থেকে বের হওয়া কঠিন হয়ে যায় আমাদের জন্য। কাঁদার কারণে না পারি বাজারে যেতে না পারি কাজে কর্মে যেতে খুব কষ্ট হয় আমাদের। আমাদের কষ্ট কারো নজরে পড়ে না তো। এতদিন হয়ে গেলো এতটুকু রাস্তা কেউ পাঁকা করে দেয় না।
রহিমা বিবি নামের একজন গৃহকর্মী বলেন, আমার মেয়ে অসুস্থ তাকে আমি চাইলেও দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারিনি। কাঁদার কারনে ভ্যান কিংবা অন্য কোনো যানবাহন আসতে চায় না। দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে অনেক সময় যেতে পারলেও সঠিক সময়ে যেতে পারি না চিকিৎসার জন্য। কি এমন পাপ করেছি আমরা যে রাস্তা পাকা হয় না আমাদের।
আসাদ নামের একজন শিক্ষার্থী ও সাইফুল ইসলাম নামের একজন শিক্ষক বলেন, এই রাস্তা দিয়ে বাওনা স্কুল,বাঁশমুড়ি স্কুল আরো দুটো মাদ্রাসা আছে কিন্তু কাঁদার কারনে বেশকিছু দিন স্কুলে যেতে পারি না এতে পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হচ্ছে আমাদের। সরকারের অনুরোধ দ্রুত এই রাস্তাটি পাকা করে দেওয়া হোক।
আমজাদ হোসেন নামের একজন কৃষক বলেন, আমরা কৃষক মানুষ ফসল উৎপাদন করলেও রাস্তার কারনে সেটা সময় মতো বাজারে নিতে পারি না যার কারনে নায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয় এতে আমাদের লোকসান গুনতে হয়। অনেক সময় খুব কষ্টে করে বেশি ভাড়া দিয়ে বাজারে পণ্য নিয়ে গেলো ভাড়ার টাকায় ওঠে না। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ আমাদের কৃষকদের কথা চিন্তা করে হলেও রাস্তাটি দ্রুত পাকা করে দেওয়া হোক।
আলীহাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আল ইমরান বলেন, রাস্তাটি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। স্থানীয়দের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে ইতিমধ্যে আমরা দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগে চাহিদা পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলেই দ্রুত রাস্তাটি পাকাকরণ করা হবে।
© ২০২২ - ২০২৫ সমবানী কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত